ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১২/০৪/২০২৪ ১১:৪৭ এএম

নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পাহাড়জুড়ে বাজছে বৈসাবির সুর। বরাবরের মতোই নতুন বছরকে ভিন্ন আঙ্গিকে বরণ করে নিতে প্রস্তুতি নিয়েছে পাহাড়ের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলো।

নতুন বছর বরণ উৎসব ত্রিপুরাদের কাছে বৈসুক, মারমাদের সাংগ্রাই এবং চাকমাদের কাছে বিজু নামে পরিচিত। এই তিন নামের প্রথম অক্ষর এক করেই হয়েছে বৈসাবি। বৈসাবির অংশ হিসেবে বান্দরবানে শুরু হয়েছে নানান আনুষ্ঠানিকতা।

শুক্রবার সকাল সাতটার বান্দরবান রোয়াংছড়ি স্টেশন এলাকার সাঙ্গু নদীর ঘাটে এসে চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের লোকজন সব জাতির মঙ্গল কামনা করে সাঙ্গু নদীতে ফুল ভাসিয়ে তাদের ঐহিত্যবাহী ফুল বিজু উদযাপন করেছে। আর এ ফুল বিজু মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষকে নববর্ষের শুভেচ্ছাও জানায় তারা।

চাকমা-তঞ্চঙ্গ্যা শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীরা নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে পানিতে ফুল ভাসানোর অনুষ্ঠান ফুল বিজুতে অংশ নেয়।

এই ‘ফুল বিজু’র মাধ্যমে গঙ্গাদেবীর মঙ্গল কামনায় ও পুরানো বছরের সব দুঃখ, গ্লানি ধুয়ে মুছে নতুন বছরকে স্বাগত জানায় তারা।

এর মাধ্যমে বান্দরবানে শুরু হলো চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের বর্ষবরণের আয়োজন।

চাকমা বিজু উৎসবে ঐতিহ্যবাহী খাবার অনুষ্ঠান পাঁজন তোন রান্না। বিজুর দিনে পাহাড়ি বাড়িগুলোতে অতিথি আপ্যায়নের তালিকায় প্রথম দিকে থাকে এই পাঁজন।

১১টি পদ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪১টি পদ দিয়ে রান্না করা হয় পাঁজন। অনেকে আবার এর চেয়ে বেশি পদও ব্যবহার করেন।

ফুলবিজু শেষে মূল বিজুর দিনে কমপক্ষে সাতটি বাড়িতে পাঁজন খাওয়া আবশ্যক।

এই উৎসবে প্রধান আকর্ষণ জলকেলি (পানি বর্ষণ)। ১৫ ও ১৬ এপ্রিল দুইদিন এই জনকেলি উৎসবটি অনুষ্ঠিত হবে শহরে রাজার মাঠে।

এদিকে খাগাছড়িতে ফুল বিজুর মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে পাহাড়ের ঐতিহ্যবাহী প্রাণের উৎসব বৈসাবি।

ফুল বিজুর দিনে এই জনপদের মানুষ সকালে ফুল তুলে চেঙ্গী, মাইনি নদীর তীর ও বিভিন্ন নালা, খাল বিল, পুকুর ও কুয়ার ঘাটে বেদি তৈরি, বেদিতে ফুল পুজা করে গঙ্গা মায়ের উদ্দেশে প্রার্থনা করে পুরাতন বছরকে বিদায় দিয়েছেন। একই সঙ্গে পুরাতন বছরে সব দুঃখ-কষ্ট দূর হয়ে নতুন বছরে সবাই শান্তিতে কাটাতে পারেন সেই প্রার্থনা করেছেন।

এই ফুল বিজু উৎসবটি ভোর থেকে শুরু হয়ে চলে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত। উৎসবে ফুলে ফুলে ভরে উঠে নদীর পাড়গুলো, উৎসবে মেঠে উঠে সবাই।

এই উৎসবে চাকমা, মারমা ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী ছাড়াও বেশ কিছু পর্যটক ও স্থানীয় বাঙালি এই উৎসব উপভোগ করেন।

তবে কেএনএফ’র ব্যাংক ডাকাতি ও ম্যানেজার অপহরণের ঘটনায় চরম প্রভাব পড়েছে রুমা, থানছি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায়। এবার নেই পর্যটকের চাপও

পাঠকের মতামত

আজ পহেলা বৈশাখ

আজ রোববার (১৪ এপ্রিল) পহেলা বৈশাখ-বাংলা নববর্ষ। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১ ...

বান্দরবানে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালিত এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা

বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালিত রুমা,রোয়াংছড়ি ও থানচি এলাকায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। ...

বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পটিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই আরোহী নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- বোয়ালখালী উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী এলাকার মোঃ ...